জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড) বাস্তবায়নে বরিশালে ওরিয়েন্টশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় নগরীর বান্দ রোডের সিভিল সার্জন কার্যলয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, আগামী শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বরিশাল সিটি কর্পোরেশনসহ জেলায় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৬ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এর মধ্যে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় খাওয়ানো হবে ৩ লাখ ৪ হাজার ৩৫১ জনকে এবং সিটি এলাকায় ৪৮ হাজার ৭৮৫জন শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল।
ওইদিন বরিশাল জেলায় ০৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সের সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ৩২ হাজার ৫শ’ ১৯ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ২ লাখ ৭১ হাজার ৮শ’ ৩২ জন শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে।
ওইদিন বরিশালের ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৪০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বরিশালের সিভিল সার্জনের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে মোট ৪ হাজার ৩১০ জন কর্মী ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্রে কাজ করবে।
এছাড়া শুধুমাত্র জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী ও হিজলা উপজেলায় ৪দিন ব্যাপী বাদপড়া শিশুদের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সিভিল সার্জন বলেন, ইতোমধ্যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি আগামী শুক্রবার জুমাবাদ সকল মসজিদের ইমামগণ জেলাবাসীকে অবহিত করবেন। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে এই ভিটামিনের বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ওরিয়েন্টেশনে উপস্থিত ছিলেন ডিপুটি সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল ও জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. বজলুল রহমান প্রমুখ।
এদিকে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মতিউর রহমান জানিয়েছেন, আগামী শনিবার ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ২২০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৮ হাজার ৭৮৫ জন শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে এর মধ্যে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ৪ হাজার ৮৭০ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। একই সাথে ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ৪৩ হাজার ৯১৫ শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে।
ওইদিন সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতাল, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ২২টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭৪ জন কর্মী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/২০ ডিসেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম