বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ভুল প্রশ্নে এবং তিন ঘন্টার স্থলে চার ঘন্টা পরীক্ষা নেয়ায় কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটির গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক।
আগৈলঝাড়ার ইউএনও ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, উপজেলার শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ এবং হল সুপার স্থানীয় কাঠিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র করকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাদেরস্থলে নতুন দুই জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক জানান, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিভাবকদের কোন দুশ্চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি অরো বলেন, যে সকল পরীক্ষার্থী ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের ব্যাপারে ইউএনও’র সুপারিশ অনুযায়ী উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র সচিব ও সুপারের অবহেলায় গত শনিবার গনিত পরীক্ষায় ওই কেন্দ্রের ৮১ পরীক্ষার্থীকে ২০১৬ সালের এমসিকিউ প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়। এছাড়া সৃজনশীল প্রশ্ন সংকট থাকায় অন্য কেন্দ্র থেকে ফটোকপি করে প্রশ্নপত্র এনে দেওয়ায় ৩ ঘন্টার স্থলে ৪ ঘন্টা পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে গতকাল রবিবার কঠোর পদক্ষেপ নেয় বরিশাল শিক্ষা বোর্ড।
বিডিপ্রতিদিন/ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান