টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া এলাকার দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার আবদুল হাকিমের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত জালাল আহম্মদ (২২) নামে এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে টেকনাফ পৌরসভার পুরান পল্লানপাড়ার জহির আহমদের ছেলে। এসময় দু’টি দেশীয় অস্ত্র ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে এসআই মাহির উদ্দিন খাঁনসহ কনষ্টেবল রফিক ও রশিদ আহত হয়েছেন এবং পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৪৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। এ ঘটনায় আটক আনজুম আরা, রোমেনা আক্তার কাজল ও সেলিম (৩০) নামে ৩ সহযোগীকে আটক করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খাঁনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে নাইট্যংপাড়া থেকে জালাল আহমদকে তুলে নিয়ে যায় আবদুল হাকিম ডাকাত ও তার বাহিনী। এ ব্যাপারে অপহৃতের পিতা জহির আহমদ ৮ জনকে আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের তিনটি টিম পাহাড়ে যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। এসময় তার গহীন আস্তানা থেকে অপহৃত জালাল আহমদকে হাত পাঁ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন খাঁন জানান, আবদুল হাকিম ডাকাত কর্তৃক অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। গুলি চালাইতে গিয়ে এসআই মাহির উদ্দিন খাঁনসহ কনষ্টেবল রফিক ও রশিদ আহত হয় এবং পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৪৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় এবং ঘটনাস্থল দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার আসিফ আলবিন জানায়, অপহৃত যুবকের প্রচুর শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে টেকনাফ পৌর এলাকার কায়ুকখালী ব্রীজের উপর থেকে শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়ার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো: সেলিম নামে এক যুবককে অপহরণ করেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছিল।
বিডিপ্রতিদিন/ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান