দিনাজপুরের খানসামায় দফায় দফায় খড়ের ঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে! কিন্তু কেউ এই আগুন লাগার সূত্রপাত বের করতে না পারার কারণে এটাকে অলৌকিক আগুন বলে দাবি করছেন! ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে ওই গ্রামের মানুষ।
আগুন আতঙ্কের ফলে দিন রাত ধরে সর্তকতার সাথে গ্রামবাসী ও আশেপাশের মানুষ গ্রাম পাহারা দেওয়া অবস্থায় গত শুক্রবার হতে রবিবার পর্যন্ত ৫ দফায় মোট ৯ বার আগুন লেগেছে বাড়ির রান্না ও শয়ন কক্ষে। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বয়েজউদ্দিন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
কী কারণে এই গ্রামে বারবার আগুন লাগানোর মত ঘটনা ঘটছে, তা কেউ বলতে পারছে না। তবে এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আংশিক ভাবে ক্ষতি হয়েছে ঘর ও বাঁশের তৈরি এসব ঘরবাড়ি। এসব ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসীকে আগুন নেভানোর জন্য বিভিন্ন পাত্রে বিপুল পরিমাণ পানি প্রস্তুত করে রাখতে দেখা গেছে। এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ছুটে এসেছেন দেখতে।
জানা যায়, গত বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে ওই গ্রামের আতিকুর ইসলামের খড়ের ঘরে প্রথম আগুন লাগতে দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেশীরা আগুনকে নিভাতে পারলেও আবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে একই গ্রামের রব্বানি ইসলামের রান্না ঘরের আগুন লাগে। এলাকার লোকজন গুরুত্ব না দিলেও বৃহস্পতিবার আবারো বয়েজউদ্দিন পাড়ার সিদ্দিকুল রহমানের শয়ন কক্ষে সকাল ৮ টায় ও বিকেল ৩টায় আনিসুল ইসলামের গোয়াল ঘরে আগুন লেগে যায়। এরপর থেকেই এই গ্রামে শুরু হয় আগুন আতঙ্ক। এভাবে চলছে বিভিন্ন সময়ে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক আতিকুর ইসলাম বলেন, কি কারণে এ রকমটা বারবার ঘটছে তা আমি বুঝতে পারছি না’।
ঘটনার পর নীলফামারী শাখার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে গেছেন। পরে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম এবং আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড. আ স ম আতাউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব-উল-ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার রহস্য উদঘাটনে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে ১৯৯৫ সালে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুরো গ্রামটি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল বলে স্থানীয়া জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার