ময়মনসিংহে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কর্মচারীদের উপর হামলা-ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, জারী কারক কাজী আজিজজুল হক, স্টেনোগ্রফার জাহিদুল ইসলাম, কর্মচারী আলগীর শাহাদত, সাইফুল ইসলাম এবং আইনজীবী খসরু, আ: মোতালেব, সোহাগ ও শাওন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির আ: হালিম।
তিনি জানান, জজ আদালতের সামনে পরিবেশ সুন্দর করার জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতি জেলা জজের মৌখিক অনুমতি নিয়ে ৫টি অস্থায়ী স্থাপনা হিসেবে পাকা শেড দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের আইনজীবীরা অন্যায় ভাবে নির্মাণাধীন দোকান ঘরগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। পরে তারা নিচ থেকে উপরে উঠে জজ আদালতের ২য় ও ৩য় তলায় এসে প্রথম
যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের এজলাস, নেজারত শাখাসহ বেশ কয়েকটি এজলাসের দরজায় লাথি মেরে কর্মচারীদের মারপিট করে আহত করে।
এ সময় আইনজীবীদের হামলায় কমপক্ষে প্রায় ৭ থেকে ৮ জন কর্মচারী আহত হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন দলের প্যানেলে নির্বাচিত আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বদর উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, জজ আদালতের আঙ্গিনায় কর্মচারীরা অবৈধ ভাবে দোকানঘর নির্মাণ করেছে। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবার আশংকা রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে সমিতির পক্ষ থেকে জেলা জজকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। কিন্তু রাতের আধাঁরে কর্মচারীরা দোকানঘর নির্মাণ করায় ক্ষব্ধ আইনজীবী নির্মাণাধীন দোকানগুলো ভেঙ্গে দিয়েছে।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. জালাল উদ্দিন খান বলেন, আইনজীবী কর্মচারীদের উপর হামলা করেনি। বরং কর্মচারীরা আইনজীবীদের উপর হামলা করে ৪ জনকে আহত করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন