নাটোর সদর উপজেলার আমহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাগাতিপাড়ায় এনে রাতে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি তার স্বজনরা। উপজেলা প্রশাসনের গোচরে এলে রাতেই অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও নাসরিন বানু। শুক্রবার রাতে উপজেলার খামার বজরাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ইউএনও নাসরিন বানু জানান, নাটোর সদর উপজেলার নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেঘলা নামের ওই ছাত্রীকে লুকিয়ে বিয়ের আয়োজন করে তার স্বজনরা। মেঘলা নাটোর সদরের বুলেট মিয়ার কন্যা। শুক্রবার রাতে বাগাতিপাড়া উপজেলার খামার বজরাপুর গ্রামে বহিরাগত ওই ছাত্রীর দুলাভাই আব্দুল মমিনের ছেলে মিঠু’র বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। বরও যথারীতি ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। খামার বজরাপুরের ওই বাড়িতে বাল্যবিয়ের গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন রাতেই সেখানে এক অভিযান চালান। অভিযানের খবর পেয়ে বর-কনেসহ সবাই বাড়ি থেকে ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে গ্রাম পুলিশ দিয়ে বাড়ির মালিক আব্দুল মমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাল্যবিয়ে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউএনও নাসরিন বানু আরও বলেন, বাল্যবিয়ের ব্যাপারে কোন শিথিলতা দেখানো হবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল