গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন মুসল্লি নিহত হন।
এ ঘটনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের ভূমিকা, পদক্ষেপ এবং মুসলিম সম্প্রাদয়ের প্রতি তার সমবেদনাকে সমর্থন জানিয়ে গত ২৩ মার্চ তাকে একটি ই-মেইল পাঠান মৌলভীবাজারের চিকিৎসক সাঈদ এনাম।
এর পাঁচ দিন পর প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের পক্ষে তার কার্যালয়ের একান্ত সচিব ডায়না অকেবা সাঈদ এনামের চিঠির জবাব দেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো ইমেইলের জবাব পেয়ে বাংলাদেশি চিকিৎসক সাঈদ এনাম খুবই আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত হন।
এ বিষয়ে এনাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমি একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞ। শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেনটন ট্যারেন্টের এমন বর্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমি যেমন বিস্মিত, তেমনই এ ঘটনার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কিছু পদক্ষেপ আমাকে অভিভূত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন অমুসলিম হয়ে জাসিন্ডা দল-মত-ধর্মের ওপরে উঠে যে ভূমিকা রেখেছেন তাতে আমি তাকে সাধুবাদ না জানিয়ে থাকতে পারিনি। এটা মানুষ হিসেবে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। সে দায়িত্ববোধ থেকেই নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীকে একটি মেইল করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি।’
সাঈদ এনাম ই-মেইলে লেখেন , ‘শুধু মসজিদ নয়, মন্দির, গির্জা, চার্চ বা প্যাগোডায় প্রার্থণারত কাউকে আঘাত করা সম্পূর্ণ নিষেধ।’
মেইলটি পেয়ে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী তার অফিসের মাধ্যমে সাঈদ এনামকে মেইলের জন্য ধন্যবাদ দেন।
ফিরতি মেইলে জাসিন্ডা বলেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ ও সোস্যাল মিডিয়া যেভাবে নিউজিল্যান্ডবাসীর এমন ক্রান্তিলগ্নে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে আমি অভিভূত।’
বিডি প্রতিদিন/কালাম