পটুয়াখালীর কারখানা নদীর ঝিলনা ও পাংশিঘাট পয়েন্টে একটি লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার থেকে ছিটকে পরে যাওয়া মালিকসহ নিখোঁজ দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এ ঘটনায় আহত আবদুল খালেককে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, ট্রলার মালিক নুরুল আলম ও তার সহযোগী মনির হোসেন। তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানায়, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা থেকে মহিষ নিয়ে ট্রলারে লক্ষ্মীপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মহিষবাহী ট্রলারে ত্রুটি দেখা দিলে কারখানা নদীর তীরে নোঙ্গঁর করে মেরামত করছিল। এ সময় ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে ছেরে আসা যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ভোর ৪টার দিকে ওই ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় ট্রলারের উপর ঘুমিয়ে থাকা মালিক নুরুল আলম ও তার সহযোগী মনির হোসেন নদীতে ছিটকে পরে নিখোঁজ হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী নদী বন্দরের উপ-পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. খবির উদ্দিন হাওলাদার জানান, এ ঘটনায় বরিশাল থেকে ডুবুরি দল এসে নদীতে অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ দুই জনের লাশ উদ্ধার করে। তবে মহিষ হতাহত হয়নি বলে জানান তিনি।
দুমকি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, আহত আবদুল খালেককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালীতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রলার মালিক পক্ষের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন