কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহের পর নতুন বছরের শুরুতেই তৃতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দিনভর বইছে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়া। শীতে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। ঘর থেকে শীতার্ত মানুষ বের হয়ে যেতে পারছেন না কাজে। ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়ছে লালমনিরহাটের ৬৩ চরের মানুষ।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি। ফলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে তিস্তা পারের মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল এবং নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। শিশু, বয়স্ক ও অ্যাজমা রোগীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। পাশাপাশি গবাদিপশুও শীতে কষ্ট পাচ্ছে।
দেশের উত্তরের সীমান্তবতী আর হিমালয় পর্বত ঘেষা এ জেলা লালমনিরহাট। দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় এ জেলায় শীতের প্রকোপ একটু বেশীই। সারাদিন বইছে ঠান্ডা কনকনে বাতাস, সেই সাথে হাড় কাঁপানো শীত। প্রচন্ড শীতের কারণে একদিকে যেমন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের চলাফেরা কষ্ট হয়ে পড়েছে। অপরদিকে শীতের প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়াসহ শ্বাস কষ্টজনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
তিস্তাপারের বেশির ভাগ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন শীতার্তরা। তারা বেশি ভিড় করছেন ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানে। নিজেদের সাধ্যমত শীতের কাপড় কিনছেন শীতার্তরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় ৫৩ জন শিশু নিউমেনিয়াসহ শ্বাস কষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা.কাসেম আলী বলেন, তৃতীয় দফায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাস কষ্ট সহ ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে গেছে। ভর্তিকৃতদের সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, তৃতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য আবারও শীতবস্ত্রের চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল