বরিশাল-ঢাকা নৌ পথের মেঘনা নদীর চাঁদপুর সংলগ্ন মাঝ কাজীর চর এলাকায় মাঝ নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছে। গত রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই দুর্ঘটনায় দুটি লঞ্চের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হতাহতদের মধ্যে নিহত ২জনসহ আহত ৩ জন এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের এবং বাকি আহত ৫জন এমভি ফারহান-৯ লঞ্চের যাত্রী।
কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. বেল্লাল হোসেন জানান, রবিবার রাতে বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি কীর্তনখোলা-১০ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। রাত ১টা নাগাদ লঞ্চটি মেঘনা নদীর মাঝ কাজীর চর অতিক্রমকালে ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়াগামী এমভি ফারহান-৯ লঞ্চটি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ডানপাশে মাঝ বরাবর সজোরে আঘাত হানে। এতে কীর্তনখোলা লঞ্চের মাঝ বরাবর দ্বিতীয় তলার অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতি হয়। দুর্ঘটনায় কীর্তনখোলা লঞ্চের দ্বিতীয় তলার ডেকে থাকা যাত্রী মা ও মেয়ে নিহত হয়। তবে তাদের নাম জানাতে পারেননি তিনি। দুর্ঘটনায় ওই লঞ্চের আরও ৩ যাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার পর লঞ্চটি দ্রুত চাঁদপুর নদী বন্দরে গিয়ে আহত ৩জনকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।
পরে লঞ্চটি ফের ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে গতকাল সোমবার সকাল পৌঁনে ৯টায় গিয়ে সদরঘাটে পৌঁছে। দুর্ঘটনার জন্য এমভি ফারহান-৯ লঞ্চকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় এবং মেরিন কোর্টে মামলা করার কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্থ লঞ্চ কোম্পানীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক বেল্লাল হোসেন।
অপরদিকে ফারহান-৯ লঞ্চের কারনিক মো. আল-আমিন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে তাদের লঞ্চ দুর্ঘটনা কবলিত হয়। দুর্ঘটনায় ফারহান লঞ্চের অবকাঠামো অনেক ক্ষতি হয়েছে।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, মেঘনা নদীর চাঁদপুর সিমান্তের মাঝ কাজীরচর পয়েন্টে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে ২ যাত্রী (মা ও শিশু মেয়ে) নিহত এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। আহতদের ওই রাতেই বিআইডব্লিউটিএ’র সহায়তায় চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা