সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নীলফামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোরসালিন ইসলামের নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে তার সহপাঠীরা।
সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে এ সময় মানববন্ধনও করেন তারা। এতে শিক্ষক-কর্মচারীরাও যোগ দেন। বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী, দশম শ্রেণীর ছাত্র উমর ফারুক ও রাজু ইসলাম।
কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মোখলেসুর রহমান।
ছাত্র উমর ফারুক বলেন, গরীব পরিবারের অনেক সন্তান এখানে পড়াশোনা করেন। তাদের প্রতি বাবা-মায়ের অনেক আশা ভরসা রয়েছে। ঠিক মোরসালিন ইসলামের পরিবারও একই রকম ভরসা করেছিলো তার পরিবার, কিন্তু অকালে সড়ক দুর্ঘটনায় তাকে চলে যেতে হল।
প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, শহরের ভেতরে বাহিরে অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব অবৈধ যানের ফলে হারাতে হচ্ছে অনেক প্রাণ। আমরা দ্রুত এসব যান বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
পুলিশ সুপার মোখলেসুর রহমান বলেন, যেকোন মূল্যে এসব যানবাহন বন্ধ করা হবে। তারা চলাচল করতে পারবে না। ইতোমধ্যে প্রায় ২০টি নছিমন করিমন আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত চালককে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক ছাত্রের পরিবারের কাছে ২৫ হাজার টাকার চেক দিয়ে বলেন, দ্রুত সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের বৈঠক আহ্বান করে নীলফামারী থেকে এসব যান চলাচল বন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে নীলফামারী বাইপাস সড়কে ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন দুর্ঘটনায় মোরসালিন ইসলাম মারা যান। সে ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই ছাড়ারপাড় এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল