ফরিদপুরে দুদকের দায়ের করা মামলায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সাবেক ক্যাশিয়ার টি এম কামরুল হাসানকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় কামরুল হাসান পলাতক ছিলেন।
টি এম কামরুল হাসান বর্তমানে শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি মাদারীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৩ জুন থেকে ওই বছর ৪ আগষ্ট পর্যন্ত সময়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন খাতে টাকা উত্তোলন করে ২৫ হাজার ৯ শত ৮ টাকা আত্মসাৎ করেন কামরুল হাসান। এ ব্যাপারে ২০০২ সালের ১৬ জুলাই মাদারীপুর দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বশির বাদী হয়ে মাদারীপুর থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত করেন সম্মিলিত দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুরে পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কুবাদ হোসেন বলেন, মামলার রায়ে কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে কামরুল হাসানকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার ৯ শত ৮ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং উক্ত আইনের ২১৮ ধারায় তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের এর ৫(২) ধারায় কামরুল হাসানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার