শিরোনাম
- রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
- লালকেল্লা বিস্ফোরণের নেপথ্যে পুলওয়ামার চিকিৎসক উমর নবি?
- দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হামলা ছিল?
- ৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
- রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
- শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
- গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
- রাবির হলে গাঁজা সেবনকালে ৭ শিক্ষার্থী আটক
- ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
- কলাপাড়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার
- জবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- ডিপফেক চিনবেন যেভাবে
- বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মারা গেছেন
- মুশফিককে সরিয়ে স্টাম্পিংয়ের রেকর্ড লিটনের
- নাশকতার শঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
- হাই কোর্টে স্থায়ী হলেন অভ্যুত্থানের পরে নিয়োগ পাওয়া ২২ বিচারপতি
- ভোজ্যতেলের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
- শিল্পকলায় ‘সুড়ঙ্গ’
- ‘ডাউন সিনড্রোম জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির আহ্বান’
- আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ
'আমার মাকে তারা মেরে ফেলেছে'
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
শরীয়তপুর নড়িয়া ঘরিষার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের ভুলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত আকলিমা বেগম (৪৩) নড়িয়ায় উপজেলা ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের উত্তর সালধ গ্রামের ইয়ার বক্স বেপারীর স্ত্রী। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর করে নিহতের স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন।
এই ঘটনার পর থেকে ডাক্তার মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছে। নড়িয়া থানা পুলিশ জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিহত আকলিমার মেয়ে আশামনি বলেন, কিছুদিন পূর্বে মাকে ঘড়িসার ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মিজানুর রহমানকে দেখাই। তখন তিনি আমাদেরকে বলেন, তার নাকে পলিপাস জনিত সমস্যা আছে অপারেশন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এটি একটি ছোট অপারেশন, অল্প দিনেই সেরে যাবে। আপনারা ১০-১৫ দিন পরে আসেন। প্রায় ২০ দিন পর মাকে নিয়ে যাই পলিপাস অপারেশন এর জন্য। বিকেল ৩টার সময় অপারেশন রুমে মাকে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় পার হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই নাকের অপারেশন করতে এত সময় লাগে কি না। তখন তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে সময় কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এসময় তারা একে অপরের সাথে কি যেন বলাবলি করছিলেন। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। কারণ নাকের পলিপাস অপারেশন করতে ২০-৩০ মিনিটের বেশি লাগে না। তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ছয়টার সময় বলে আপনার মায়ের অবস্থা বেশি ভালো না, তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে হবে। এই বলে তারা তড়িঘড়ি করে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে উঠিয়ে দেন। তখন আমি মায়ের হাত পা ও শরীরে হাত দিয়ে দেখি ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। তখন আমি বুঝতে পারি, মা আর বেঁচে নেই। আমি চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করলে আশপাশ থেকে লোকজন চলে আসে। আমার মা অপারেশনের টেবিলেই মারা গিয়েছে। তারা এটাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্যই অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই। আমার মাকে তারা মেরে ফেলেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর