হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশের ফুটবলে বাঁকবদলের গল্পের শুরুটা করেছেন গত মার্চে। শিলিগুড়িতে ভারতের বিপক্ষে অভিষিক্ত হয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা এই তারকা ফুটবলার। এরপর বাংলাদেশ দলে যোগ হয়েছেন কানাডা লিগে খেলা সামিত সোম এবং ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহামিদুল ইসলাম। এবার আরও একজন তারকা লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াতে যাচ্ছেন। গত এপ্রিলেই ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের দল সান্ডারল্যান্ডের মিডফিল্ডার কিউবা মিশেল বাংলাদেশ দলে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর দ্রুত কাজে হাত দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। একে একে সব বাধা অতিক্রম করে কিউবা মিশেল এখন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর দ্বারপ্রান্তে। এরই মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্ট হয়ে গেছে তার। গত ২৯ মে কিউবা রাউল মিশেলের পাসপোর্ট ইস্যু করেছে কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগে তিনি ব্রিটেনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন। ছবি তোলেন। প্রিন্ট হওয়া পাসপোর্ট এবার ব্রিটেনে মিশেলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াতে আরও কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে মিশেলকে। প্রথমত ইংলিশ এফএ’র অনুমতি প্রয়োজন হবে। এরই মধ্যে এ আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করার কথা জানিয়েছেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান। ফিফার অনুমতিও খুব দ্রুত পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি। ইমরুল হাসান বলেন, ‘কিউবা মিশেল সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দেখতে ঢাকায় আসতে পারেন। তবে তাকে লাল-সবুজের জার্সিতে দেখার জন্য হংকং ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ আগামী ২৫ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ঢাকার মাঠে সেই ম্যাচেই দেখা যেতে পারে কিউবা মিশেলকে।
ইংলিশ শহর বার্মিংহামে ২০০৫ সালের ২৩ নভেম্বর জন্ম কিউবা মিশেলের। বাংলাদেশি মা আলিমা খাতুন এবং জ্যামাইকান বাবা এমারসন লি মিশেল। তিন দেশের হয়ে খেলতে পারতেন তিনি। তবে বেছে নিলেন মায়ের দেশকেই। চলতি মৌসুমে তার দল সান্ডারল্যান্ড ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রমোশন পেয়েছে। গত বছর এই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মিশেল। জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও আরও এক বছর চুক্তি বাড়ানোর সুযোগ আছে। যদি তাই হয়, সামনের মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দেখা যাবে কিউবা মিশেলকে।