বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিলে অন্তর্বর্তী সরকার সসম্মানে বিদায় নিতে পারবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বক্তব্য দেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, ’৭২ থেকে ’৭৫ সময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাঁরা ছিলেন, বাকশাল কায়েম করে তাঁরা গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন। রক্ষীবাহিনী তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও স্বাধীনতাকামী মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। এমন একটা অরাজক পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত করেছিলেন। বিশৃঙ্খল সেনাবাহিনীকে এক করেছিলেন। তিনি বাকশাল বাতিল করে গণতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। এভাবেই তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠেছিলেন। বিএনপির প্রবীণ এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর অনেকে বলেছিল তিনি ছাড়া বিএনপি ইজ জিরো। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া সাহসিকতার সঙ্গে বিএনপির হাল ধরেছিলেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শিকতায় তিনি দেশ পরিচালনা করেছিলেন। এ বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়া, তারেক জিয়াসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীর ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছিল। কিন্তু এত নির্যাতনের পরও বিএনপিকে দমানো সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা গিয়েছিলাম। আমরা কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই, তার ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমরা বলেছি ডিসেম্বর নির্বাচনের জন্য একটি উপযুক্ত সময়। আমরা মনে করি নির্বাচন দিতে যত বিলম্ব হবে, পতিত সরকার নানান ষড়যন্ত্র করতে থাকবে। সুতরাং ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া উত্তম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে আগামীকাল আলোচনা শুরু হবে, আমরা তাতে যাব। তবে আমরা চাই সংস্কার প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া হোক। দেশে বর্তমানে যে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, তা কিন্তু নির্বাচনের কারণেই। আমরা কিন্তু অনেক বিশ্বাস করে ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু উনি জাপানে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা তাতে হতাশ। আমি আশা করব প্রধান উপদেষ্টা দেশের মধ্যে আর কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না।’