ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী মনিরুল ইসলাতে গলা কেটে হত্যা করেন পাপিয়া খাতুন। পাপিয়া খাতুনকে আটকের পর রবিবার বিকালে জীবননগর থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
শনিবার দিনগত রাতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রাম থেকে পাপিয়া খাতুনকে আটক করা হয়। এর আগে শনিবার দুপুরে নিজ ঘরে স্বামী মনিরুল ইসলামকে হত্যা করেন পাপিয়া।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, পাপিয়া খাতুন বেশ কিছুদিন থেকে ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর টাকার জন্য স্বামী মনিরুলকে চাপ দিচ্ছিলো। মনিরুল স্ত্রীর কথায় রাজী না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে শনিবার দুপুরে নির্জন বাড়িতে হাসুয়া দিয়ে স্বামীর গলা কেটে হত্যা করেন পাপিয়া। হত্যাকান্ডের পর তিনি কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুুপুরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবপুর গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে মনিরুল ইসলাম (৫০) নামে এক দিনমজুরের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এএম