৩০ মে, ২০২০ ২০:৪৬

আম্ফানেই শেষ কৃষকের স্বপ্ন, ডুবেছে ধান-ভুট্টা

নাটোর প্রতিনিধি:

আম্ফানেই শেষ কৃষকের স্বপ্ন, ডুবেছে ধান-ভুট্টা

সুপার সাইক্লোন আম্ফান পরবর্তী ঝড়-বৃষ্টিতে চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় ধান ও ভুট্টার ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের প্রবেশ মুখে বাঁধ দিয়ে পুকুর খনন করায় ক্ষেতের পানি সরছে না। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, সিংড়ায় ৫০০ থেকে ৬০০ হেক্টর ও বড়াইগ্রামে ৬ হেক্টর জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া সিংড়ায় প্রায় ৪৫ হেক্টর জমির ভুট্টা পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে কৃষকদের দাবি, ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশী। 

জানা যায়, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় সিংড়া উপজেলার শেরকোল, হাতিয়ান্দহ ও কলম ইউনিয়নের মধ্যবর্তী ভাষাউরা, পচাকান্দা, খামারকান্দা, লক্ষিতলা ও শৈলমারী বিলে ও বিলগুলোর নিকটবর্তী শ্রীরামপুর, কংসপুর, সোনাপুর, পমগ্রাম, পুঠিমারী, কুশাবাড়ি, খাগোরবারিয়া, নতুনপাড়া,  বড়শাঐল, পাটশাঐল, হাজিপুরসহ ২০টি গ্রামের কয়েকশ কৃষকের বিলম্বিত পাকা বোরো ধান পানিতে ডুবে রয়েছে। 

এদিকে, সিংড়া উপজেলার প্রায় ৪৫ হেক্টর ভুট্টার ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।  শ্রমিক সংকট ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কারণে ডুবে যাওয়া ভুট্টা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ভুট্টা চাষিদের অভিযোগ, ডাহিয়া ইউনিয়নের লঘুকদমা মৌজার বড়ছেঁরা খাল ও বেড়াবাড়ি থেকে বিল হরিবাড়ির সিঙ্গারখালের মুখ বন্ধ থাকায় জমির পানি নিষ্কাশিত হতে পারছে না। এতে এই ইউনিয়নের সহস্রাধিক ভুট্টাচাষী বিপাকে পড়েছেন। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, 'যেসব ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে সেগুলো বিভিন্ন বিলম্বিত জাতের। তাছাড়া জেলার প্রায় ৯০ ভাগ জমির বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে। চলনবিল এলাকায় যেহেতু ভুট্টারও ভালো ফলন হয়, তাই সাম্প্রতিক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ঝড়বৃষ্টিতে ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। তবে রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়া যেহেতু বিদ্যমান, সেহেতু দু একদিনের মধ্যেই পানি শুকিয়ে গেলে কৃষকরা ভুট্টা সংগ্রহ করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর নাটোর জেলায় ৫৭ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর