৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৫৫

ব্রিজ না থাকায় ১০ মিনিটের রাস্তা ঘুরে আসতে হয় ১ ঘণ্টায়

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

ব্রিজ না থাকায় ১০ মিনিটের রাস্তা ঘুরে আসতে হয় ১ ঘণ্টায়

বগুড়ায় কাঠের ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দুই উপজেলার মানুষ

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের বুরুজ পূর্বপাড়া এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি করে আসা ব্রিজটি আজও নির্মাণ হয়নি।

ব্রিজের অভাবে এলাকার নারী-পুরুষসহ সকল বয়সের মানুষদের নদী পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষাকালে নদী ভরে গেলে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। কৃষিপণ্য পরিবহনেও রয়েছে বাড়তি খরচ।

সুখদহ নদীতে একটি ছোট ব্রিজের অভাবে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী বিকল্প হিসেবে সেখানে কাঠের ব্রিজ তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

জানা গেছে, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের বুরুজ পূর্বপাড়া এলাকায় ও পাশের সারিয়াকান্দী উপজেলার নারচি গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে সুখদহ নদী বয়ে গেছে।

নদীতে পাকা ব্রিজ না থাকায় রিকশা ভ্যান, যন্ত্রচালিত কোনো যানবাহন বা মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না। হালচাষ করতে গরু ও পাওয়ার টিলার এবং উৎপাদিত শষ্য সামগ্রী পরিবহন করতে হয় ঝুঁকিপূর্ণভাবে। সে-কারণে তাদের বিকল্প পথে দূর দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। কোনো রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রেও রোগীর স্বজনদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ফলে ১০ মিনিটের রাস্তা ঘুরে আসতে হয় ১ ঘণ্টায়।

এলাকার কৃষক আনিছার রহমান (৭০), ফুল মিয়া (৬৫), গৃহবধু রোমেনা বেগম (৬০) ও আইরিন নাহার (৪৫) জানান, বুরুজ সুখদহ নদীতে একটি ছোট ব্রিজের অভাবে আমাদের ও পার্শ্ববর্তী সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রিজ দিয়ে চলাচল ও মালামাল আনা নেওয়া খুবই ঝূঁকিপূর্ণ। রেলিং না থাকায় কোনোমতে আমরা পায়ে হেঁটে ব্রিজ পারাপার হই।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম লতিফুল বারী মিন্টু ও ইউপি সদস্য মো. মহিদুল ইসলাম টুনু ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েক বছর আগে এই কাঠের ব্রিজ তৈরি করে দিয়েছেন। প্রতিবছর রোদ বৃষ্টিতে কাঠগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তখন আরো ঝুঁকিতে পড়তে হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানায়, আমাদের কৃষিপণ্যগুলো হাট বাজারে নিতে না পারায় সেগুলো কমদামে বিক্রি করতে হয়। ফলে ফসলের খরচ উঠে না। আমাদের লোকশান গুণতে হয়। তারা সুখদহ নদীতে দ্রুত একটি পাকা ব্রিজ দাবি করেন।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মহিদুল ইসলাম টুনু জানান, অনেক এমপি এখানে ব্রিজ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গাবতলী অফিসে যোগাযোগ করেছি। ইঞ্জিনিয়ার মাপযোগ করে নিয়ে গেছেন।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গাবতলী অফিসে যোগাযোগ করা হলে, প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা জানান, নেপালতলী ইউনিয়নের বুরুজ গ্রামে অবস্থিত সুখদহ নদীতে একটি ৬৫ মিটার ব্রিজের মাপযোগ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলেই সেখানে দ্রুত ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর