কুয়াশা সঙ্গে হিমেল ঠাণ্ডা বাতাসে সিরাজগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ঠাণ্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে সিরাজগঞ্জের জনজীবন। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষ শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শীতজনিত রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দিনমজুর শ্রমিকরা। শীতের কারণে কাজকর্ম করতে না পারায় এসব মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।
গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে নানা বয়সী মানুষ। গতবারের তুলনায় দাম বেশী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে দরিদ্ররা। আর অতি দরিদ্ররা অর্থ না থাকায় গরম কাপড় কিনতে পারছে না। এসকল অতিদরিদ্ররা সরকার অথবা বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন। তবে জেলার প্রায় ২৮ লাখ মানুষের বিপরীতে সরকারিভাবে যে কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অন্যদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় সেতু দিয়ে মাঝে-মধ্যে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখায় দীর্ঘযানজটের সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রী ও চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তাপামাত্রা আরো কমতে পারে জানান এই কর্মকর্তা।
জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলার ৮৩ ইউনিয়ন ও সাতটি পৌরসভায় ৪৬০টি করে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আর প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য ৬ লাক্ষ টাকা নতুন বরাদ্দ এসেছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কম্বল কিনে বিতরণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ