কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল দিনাজপুরের মানুষ। শুক্রবার ভোররাত থেকেই ভারী কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার সব এলাকা। তবে বেলা ১১টার দিকে সূর্যের মূখ দেখা দেওয়ার পর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও বিকালের পর থেকে কনকনে ঠাণ্ডা বাড়তে থাকে। হিমেল হাওয়া থাকায় ঘন কুয়াশায় শীতের মাত্রা বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষ।
সকালে খেটে খাওয়া মানুষেরা জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু কাজ না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।
শুক্রবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
প্রচণ্ড শীতে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিকরা পড়েছে চরম বিপাকে। বস্তি এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেককে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। সকালে ও রাতে ঘন কুয়াশা থাকায় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করেছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এটাই দিনাজপুরে মওসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এর কারনে আগামী ২/৩দিনে তাপমাত্রা আরও ২/১ ডিগ্রি কমতে পারে বলে জানান তিনি।
খানসামা উপজেলার ছাতিয়ানগড় গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, শীতে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। তারপরও থেমে নেই তাদের কৃষি কাজ।
কৃষকেরা চেষ্টা করছে তাদের গরু-ছাগলকে চটের তৈরি জামা দিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে। শীত বাড়ার সাথে পিঠার কদর বেড়ে গেছে। সকাল সন্ধ্যা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাপা-চিতইসহ হরেক রকম পিঠার পসরা নিয়ে বসছে নারী ও পুরুষেরা।
এদিকে, জেলা-উপজেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যেই দুস্থ ও অসহায়দের জন্য কম্বল বিতরণও শুরু করেছে।
খানসামা ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো খানসামায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতার্ত মানুষদের মাঝে উষ্ণতার পরশ ছড়িয়ে দিতে ইতিমধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ