রংপুর অঞ্চলে শীত জেঁকে বসেছে। হিমেল হাওয়া আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কাবু করছে শীতার্ত মানুষকে। শনিবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতার্ত হতদরিদ্র মানুষরা কষ্টে দিনযাপন করছে। শীতজনিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। প্রতিদিন এই অঞ্চলের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ উপজেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপ মাত্রা ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপ মাত্রা আরও কমবে। গত কয়েকদিন থেকে আকাশ ছিল মেঘলা। প্রায় সারা দিন সূর্যের আলো দেখা যায়নি।
পরিবেশবাদীর ধারানা জলবাযুর পরিবর্তনের ফলে এ অঞ্চলে শীতের সময় প্রচণ্ড শীত এবং গরমের সময় প্রচণ্ড গরম অনুভব হয়। গত কদিন থেকে এ অঞ্চলে শীত তার আপন রূপে ফিরে আসায় শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে। শীতের তীব্রতায় অনেকে গরম পোশাক গায়ে চড়ালেও হতদরিদ্ররা পড়েছেন বেকায়দায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল ও চর এলাকার লোকজনের অবস্থা খারাপ। শীতে কাবু অনেক দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ কাজে আসতে না পেরে দুভোর্গে পড়েছে। অনেকে কাজের জন্য শহরে আসেননি। শীত ও ঘন কুয়াশার পরিমাণ বেড়েছে। সেই সাথে কনকনে বাতাসের সাথে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। শীতের এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশাপাশি গরু-ছাগলসহ গবাদিপশুর অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। শহরের সব জায়গায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে । শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্রদের ভোগান্তি সীমাহীন অবস্থায় পৌঁছেছে।
রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, শনিবার রংপুর অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমবে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে পারে।
রংপুর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, সরকারিভাবে ৫১ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। আরও শীত বস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা