ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সেতু থেকে তিতাস নদীতে পড়ে মৃত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। নদীতে ডুবে যাওয়ার ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম হেলাল মিয়া (৩২)। তিনি বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর তিতাস নদীর সেতু থেকে নদীতে পড়ে যান হেলাল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাজপুর এলাকায় তিতাস নদীর উপরে নির্মিত ব্রিজের পশ্চিম পাশ থেকে হঠাৎ করে এক ব্যক্তি নদীতে পড়ে যায়। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পর আর ভেসে ওঠেনি।
জেলেরা খোঁজাখুঁজি করে ওই ব্যক্তির সন্ধান পায়নি। বিকেল ৫টায় হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে একটি ডুবুরি দল ওই লোকটির লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেন। রাতেই সরাইল থানায় ছুটে আসেন নিহতের স্বজনরা। তারা হেলালের লাশ শনাক্ত করেন।
হেলালের পারিবারিক সূত্র জানায়, অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান তিনি। এক বছর আগে পাশের কেনা গ্রামে বিয়ে করেছিল। তার ৩ মাস বয়সের একটি ছেলে সন্তান আছে। জেলা শহরের মেড্ডায় গাড়ির চাকা মেরামতের দোকান ছিল তার। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুর বাড়ি কেনা থেকে জেলা শহরে যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিলেন তিনি।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান বলেন, মৃত হেলালের পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সম্মিলিত সম্মতিতে কোনো ধরনের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই