হবিগঞ্জে পাল্টাপাল্টি মিছিল দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষে মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকায় এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়।
জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে তিনি চলে যান।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান জানান, শায়েস্তাগঞ্জে সাবেক এমপি কেয়া চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিলে যুবলীগ পাল্টা অবস্থান নেয়। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জে পৌর আওয়ামী লীগের সভায় সাবেক এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়ার বক্তৃতা দেয়ার সময় একদল যুবকের হট্টগোল সৃষ্টি ও তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল আহবান করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এ জন্য তারা জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়। এ খবর পেয়ে পাল্টা মিছিল করার প্রস্তুতি নেয় জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। তারা অবস্থান নেয় জেলা পরিষদের সামনে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে। এ সময় তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু কোন পক্ষই পিছু হটেনি। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব দাশ পুরকায়স্থ ও শামসুদ্দিন মো. রেজা।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন