ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় স্ত্রীর চুল কেটে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বুধবার নির্যাতিত ওই নারী প্রথমে দৌলতখান থানায় এবং পরে বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মাজহারুল আমিন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে মামলা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল অদুদ এবং ভিকটিমের চাচা আবুল খয়ের সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বোরহানউদ্দিন দারুস সুন্নাত মডেল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সইফুল ইসলামের সাথে কামিল পরীক্ষার্থী খাদিজা বেগমের বিয়ে দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে বিয়ের পর থেকেই খাদিজাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে স্বামী সাইফুল। সর্বশেষ গত সোমবার নির্যাতনের এক পর্যায়ে খাদিজার মাথার চুল কেটে নিয়ে তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে স্বামী। এ সময় খাদিজাকে বাবার বাড়ির কারো সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি। এক পর্যায়ে পাশের বাসার লোকজনের সহায়তায় খাদিজা স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে দৌলতখান থানাধীন চরপাতা গ্রামে তার বাবার বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় খাদিজা প্রথমে দৌলতখান থানায় এবং পরে বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের পিতা তৈয়বুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতো। নির্যাতনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে তার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে তা হলে তার বিচার হওয়া উচিৎ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন