আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগুড়ার শিবগঞ্জে সরকারি দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষকলীগ নেতা আজহারুল ইসলাম নান্টু (৩৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় দোকান-পাট ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ভোরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় নান্নু মারা যায়। এর আগে সোমবার রাত ১০টায় ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের দাড়িদহ বাজারে প্রতিপক্ষের লোকজন একা পেয়ে আজহারুল ইসলাম নান্টুকে মারপিট করে তার মাথায় ও পায়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজহারুল ইসলাম নান্টু উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের আবদুল বাসেদের ছেলে ও ৮নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রূপম ও বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু জাফর মন্ডলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের দাড়িদহ বাজারে হঠাৎ করেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘর্ষ চলাকালে দাড়িদহ বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ ১০টি দোকান ভাংচুরের করা হয়।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রূপমের সমর্থিত কৃষকলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম নান্টুকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষ জাফর গ্রুপের লোকজন মারপিট করে তার মাথায়, পায়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার ভোররাতে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রূপম বলেন, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আবু জাফর মন্ডল জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত সন্ত্রাসী লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে কৃষকলীগ নেতাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত বাবা আব্দুল বাছেদ মন্ডল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর