প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও জনবল সংকটসহ নানান সমস্যা নিয়ে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আর ৫০ শয্যার অনুমোদনই এখন হয়নি। প্রয়োজনের ৯ জন চিকিৎসকের স্থলে রয়েছে মাত্র ছয়জন। জনবল ও যন্ত্রপাতিসহ নানান সংকটে সেবা কার্যক্রম চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৩১ শয্যার জনবলের অর্ধেকই নাই বলে জানান নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহজাহান আলী।
বিভিন্ন রোগীর লোকজন জানায়, হাসপাতালে আল্ট্রাসনো মেশিন না থাকার ফলে রোগীদের বাইরে যেতে হয়। আর এসব সুযোগ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরেই দালালদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর খপ্পরে পড়ছে রোগীর লোকজন।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহজাহান আলী জানান, আল্ট্রাসনো মেশিনের জন্য বারবার চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৩১ শয্যার জনবলেও শূন্য রয়েছে অর্ধেক চিকিৎসকের পদ। ৯ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত রয়েছে মাত্র ছয়জন । ফার্মাসিস্ট ২টি পদই শূন্য। নার্স থাকলেও ওয়ার্ড বয়, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা কর্মীর একজনও নেই। চতুর্থ শ্রেণি ও স্বাস্থ্য সহকারীর পদেও পর্যাপ্ত জনবল সংকট। গাইনি, ডেন্টাল, এন্তেসিয়াসহ সাতজন মেডিকেল অফিসার পদ শূন্য রয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহজাহান আলী বলেন, ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনবল দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৩০০-৩৫০ জন রোগী আসে। জনবল সংকটের কারণে হিমশিম খেতে হয়।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য সহকারী, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদ পূরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এন্তেসিয়া কনসালটেন্টের অভাবে এখানে অপারেশন করা হয় না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সমস্যাসহ জনবল সংকট সমাধানে চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই