ভাষা সৈনিক এম শামসুল হক পেলেন মরণোত্তর একুশে পদক। আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়। তার পক্ষে একুশে পদক গ্রহণ করেন, তারই সন্তান গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।
চলতি বছরে ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে ৩ জন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে ৩ জন, শিল্পকলায় ৭ জন, ভাষা ও সাহিত্যে ৩ জন এবং সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় ১ জনসহ মোট ১৭ জনকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের মাধ্যমে দেশের কৃতি সন্তানদের হাতে এসব পদক তুলে দেন।
ময়মনসিংহের সূর্য সন্তান মরহুম এম শামসুল হক ফুলপুরবাসীর গর্ব ও প্রেরণার উৎস। তিনি ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহচর। ১৯৪৬ সনে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ শহরে মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
পরবর্তীতে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ শহরে বিশাল মিছিল নিয়ে বের হওয়ায় তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের হাতে গ্রেফতার হন ও কারাবরণ করেন শামসুল হক। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্কুল, কলেজে মিছিল মিটিং, পথসভা, পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণসহ নানামুখী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি।
শামসুল হক ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ময়মনসিংহ-১৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর