পটুয়াখালীর গলাচিপায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরার সময় কাশেম বেপারী নামের এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামি হাসিনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গলাচিপা থানার এএসআই মো. সুমন হাওলাদার বাদি হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের উপর হামলা করিয়া আসামিকে পালাইয়া যাইতে সহায়তাকরাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। গলাচিপা থানার মামলা নং-২১। কাশেম বেপারী (৪৫) ও বশির বেপারীর স্ত্রী মোসা. হাসিনা বেগম (৩৫) সহ মোট ১০জনের নামোল্লেখসহ ৮/৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
গলাচিপা থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, ভোলার চরফ্যাশনের একটি জিআর-২৫৬-৯৯ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামী কাশেম বেপারী গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা গ্রামে অবস্থান করছে বলে সংবাদ পায় পুলিশ। শনিবার বিকেলে কাশেম বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় কাশেমের বাড়ির নারী-পুরুষ ডাক-চিৎকার দিয়ে সকলে একত্রিত হয়। পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মরিচের গুড়া নিয়ে ছুটে এসে হাসিনা বেগম এএসআই সুমনসহ অন্যান্য সদস্যদের চোখে ছিটিয়ে দেয়। এসময় জড়ো হওয়া ১০-১২ জন মিলে পুলিশ সদস্যদের এলাপাথারি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। মরিচের গুড়া ছিটিয়ে রক্ষা না পাওয়ায় প্রধান আসামি কাশেম বেপারী সুপারি কাটার ‘ছরতা’ দিয়ে এএসআই সুমনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুত্বর আহত এএসআই সুমন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পলাতক প্রধান আসামি কাশেম বেপারীকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার