নোয়াখালীর বসুরহাটে আজমিরি হোটেল নামে একটি রেস্টুরেন্টে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। কাদের মির্জা নিজে রেস্টুরেন্টের মালিক জসিম উদ্দিনকে বেদম মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় কর্মচারীসহ আরও পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহতদের মধ্যে জসিম উদ্দিনকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অপর আহতদের কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন : সারাদিন রোগী দেখে হঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি ডাক্তার, অতঃপর করোনায় মৃত্যু...
রেস্টুরেন্টের মালিকের অভিযোগ, সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা রাহাতসহ বাদল অনুসারী নেতাকর্মীরা সন্ধ্যার পর তার হোটেলে নাস্তা করে। এমন খবর পেয়ে রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক লোক তার হোটেলে হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে তার দোকানের বাইরের কিছু অংশ ভেঙে দেয়। পরে কাদের মির্জা নিজে হোটেলের ভিতরে ডুকে তাকেসহ কর্মচারীদের মারধর করেন। এ সময় মেয়রের লোকজন দোকানে লুট চালায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল কাদের মির্জা জানান, হোটেল মালিক অবৈধভাবে বাইরে একটি অংশ নির্মাণ করেছিল। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভিগ্ন ঘটছে। তাকে বলার পরও অতিরিক্ত অংশ না ভাঙায় পৌর কর্তৃপক্ষ তা ভেঙে দেয় এবং তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রবিবারের হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতাল কর্মসূচি মোকাবেলায় জরুরি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আজমেরী হোটলে নাস্তা করে। এ খবর পেয়ে কাদের মির্জা প্রথমে হোটেলের নিচে অবস্থান নেয়। পরে তার অনুসারীদের নিয়ে হোটেলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, মেয়রসহ তার লোকজন হোটেল ভাঙচুর করছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। হোটেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম