লকডাউনে সংকটে পড়েছে মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনেরা। যেহেতু বিধি নিষেধে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবারের দোকান, রেস্তোরা বন্ধ রেখেছে হোটেল মালিকেরা। হাসপাতালে ভর্তিকৃত করোনা রোগীর স্বজনেরা নিজ নিজ রোগীকে নিয়ে চিন্তায় এর মধ্যে রাত হলেই খাবার নেই, হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ। রোগীকে বাঁচাতে বিভিন্ন দৌড়ঝাপ। আর এসব রোগীর স্বজন নিজের জন্য খাবার জোগাড়ে সংকটে পড়েন। এইদিকগুলো বিবেচনায় এনে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির নিদের্শনা আর সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন দিনাজপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাইসুল ইসলাম।
লকডাউনের প্রথমদিন ১ জুলাই থেকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকৃত করোনা রোগীর স্বজনদের মাঝে রান্নাকৃত খাবার বিতরণ করে আসছেন তিনি। করোনা রোগীর স্বজন ছাড়াও সাধারণ রোগীর স্বজনেরাও এই খাবার পাচ্ছেন। প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের পাশেই রান্নাকৃত খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে যান রাইসুল ও তার সহযোগীরা।
সোমবার দিবাগত রাত ৯টায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে খাবারের প্যাকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাইসুল। তার পাশে দাঁড়িয়ে রোগীর স্বজনদের খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবির সোহাগ।
এ সময় রায়হান কবির সোহাগ বলেন, আমি পারিনি। রাইসুল পেরেছে। করোনা রোগীর শয্যা সেবারত স্বজনদের রাতের খাবারের কথা বিবেচনায় এনে এতো ভালো একটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে রাইসুল। এটা যেমন একদিকে ছওয়াবের, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জননেতা হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির একজন কর্মী হিসেবে দায়িত্বও বটে। বিষয়টি জানতে পেরে নিজেই ছুটে এসেছি তার এই মহৎ কর্মকান্ড চোখ বুলিয়ে নিতে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাইসুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেই যখন করোনায় আক্রান্ত ছিলাম পরিবারসহ। ভর্তিকৃত অবস্থায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতে খাবারের সমস্যা জটিলতা অনুভব করেছি। বিষয়টি নিয়ে জননেতা হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এর দ্বারস্থ হলে তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন। তার সহযোগিতায় আমি প্রতিদিন রাতে প্রায় ১শ করোনা রোগীসহ সাধারণ রোগীর স্বজনদের মুখে রান্নাকৃত খাবার তুলে দিতে পারছি। এ পর্যন্ত ১২শ রোগীর স্বজনদের মাঝে এই খাবার বিতরণ করেছেন বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন