নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়ায় একটি শহীদ মিনারের পিলার ধসে জান্নাতি আক্তার (২) নামে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া শিশু জান্নাতির নিহতের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর জন্য শোকজ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। একই সাথে নিহতের ঘটনায় তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। নিহত জান্নাতি আক্তার সেকান্দরদী গ্রামের রাব্বি মোল্লার মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, জান্নাতি আক্তার শনিবার বিকালে বাড়ির পাশে সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ শহীদ মিনারের একটি পিলার ভেঙে শিশু জান্নাতির উপর পড়ে। এতে মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পলাশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারিউল্লাহ সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেটি মেরামত না করে দড়ি দিয়ে পিলারটি গাছের সাথে বেধে রাখে। যার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আমরা তদন্ত কমিটি ঘটন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের গাফলতির কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে শিক্ষা অফিস থেকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আর দুর্ঘটনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে রাতে আমরা নিহত শিশুটির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর