শিরোনাম
১৮ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:০৩

খেয়াঘাটে দুই বোনকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ

সাভার প্রতিনিধি

খেয়াঘাটে দুই বোনকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ

সাভারে খেয়া পারাপারের সময় আপন দুই বোনকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। আহত দুই তরুণীকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় রবিবার রাতে সাভার মডেল থানায় অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দুই তরুণীর চাচা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাভারের কাউন্দিয়া খেয়াঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী দুই বোনের মধ্য বড়জন মিরপুরের একটি কলেজের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং অপরজন উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মো. সেলিম সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাকসাত্রা গ্রামের মৃত মহব্বত আলী বেপারীর ছেলে। 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সম্পর্কে বোন ওই দুই তরুণী গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মিরপুর থেকে কেনাকাটা করে বাসায় সাভারের কাউন্দিয়ায় নিজ ফিরছিলেন। পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে তারা কাউন্দিয়া খেয়াঘাটে পৌঁছায়। এ সময় সেলিম নামে স্থানীয় এক  প্রভাবশালী বড় বোনের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।

এ সময় দুই বোন প্রতিবাদ করলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সেলিম। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সেলিম নৌকা থেকে ছাতা নিয়ে ছোট বোনকে আঘাত করেন। বড় বোন বাঁধা দিলে তাকে উপর্যুপরি ছাতা দিয়ে আঘাত গুরুতর আহত করেন সেলিম। এ সময় সেলিমের ভাগিনা তাকে সহযোগিতা করে। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে সেলিম ও তার ভাগিনা চলে যায়। পরে তাদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে বড় বোন জানান, ‘খারাপ মানুসিকতা নিয়েই ওই ব্যক্তি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। প্রতিবাদ করায় আমাদের দুই বোনকেই অনেক মারধর করেছে। আমি এখনো হাসপাতালে ভর্তি। পুরো শরীর ব্যথায় নড়াচড়া করতে পারছি না। পরে জানতে পেরেছি, লম্পট প্রকৃতির ওই ব্যক্তির বাড়িও আমাদের গ্রামেই। তবে তারা প্রভাবশালী।’

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, রাতে এমন একটি অভিযোগ আসছিলো। পরে বিষয়টি সামাজিক ভাবে বলে তারা চলে গেলো। আমাদের কাছে আর আসলো না। তবে তারা থানায় অভিযোগ দিয়ে থাকলে আমি বিষয়টা দেখছি।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর