১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:১০
প্রকল্প গ্রহণ না করেই ১৮ লাখ তুলে নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান

কারণ দর্শানোর জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে ফেরত দিলেন টাকা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

কারণ দর্শানোর জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে ফেরত দিলেন টাকা

দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন।

প্রকল্প গ্রহণ ছাড়াই গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ভূমি হস্তান্তর কর (১%) বরাদ্দের তুলে নেওয়া সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে শোকজ নোটিশ পাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক হিসাব নম্বরে এই টাকা জমা করেন তিনি।

এছাড়া আয়কর বাবদ ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকাও জমা দিয়েছেন ব্যাংক হিসাবে। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের অভিযুক্ত চেয়ারম্যান স্বাধীন তার শোকেজের জবাবে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রোকসানা বেগম। তিনি বলেন, শোকজের লিখিত জবাব বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) তার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। শোকজ জবাব তিনি গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রোখছানা বেগমের দপ্তরে পাঠিয়েছেন। এছাড়া উত্তোলন করা সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ও আয় করের আড়াই লাখ টাকা জমার কথাও জানান তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. নুরজামান মিয়া বলেন, সোনালী ব্যাংক সাদুল্লাপুর শাখার হিসাব নম্বরে এসব টাকা জমার রশিদ এবং ট্রেজারি চালানের কপি ইউএনওসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। লিখিত জবাবে চেয়ারম্যান অভিযোগের ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনার কথা উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রোখছানা বেগম জানান, চেয়ারম্যান স্বাধীনের লিখিত জবাব ইউএনও’র মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। তার জবাব পর্যালোচনা করাসহ সরেজমিন অভিযোগগুলো তদন্ত করেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে প্রকল্প গ্রহণ ছাড়াই সাড়ে ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের আয়কর বাবদ ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা জমা না দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠিয়ে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রোখছানা বেগম।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর