কক্সবাজারের টেকনাফের কাস্টমস ঘাট এলাকায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১৫) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পের ডাকাত সর্দার খায়রুল আমিন গ্রুপের প্রধান খায়রুল আমিনকে (৩৮) অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল টেকনাফের কাস্টমস ঘাট এলাকায় ডাকাত দলের অবস্থানের সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ওৎ পেতে থাকে।
পরে ওই এলাকা হতে উখিয়া কুতুপালং ১নং নিবন্ধিত ক্যাম্পের এফ ব্লকের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে এবং ডাকাত সর্দার খায়রুল আমিন গ্রুপের প্রধান খায়রুল আমিনকে (৩৮) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার দেহ তল্লাশি করে ১টি দেশীয় পিস্তল এবং ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারের পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে একদল সশস্ত্র ডাকাত পাহাড়ে অবস্থানের স্বীকারোক্তিতে ২০ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে র্যাবের চৌকষ আভিযানিক দলটি টেকনাফ কেরুনতলি এলাকার গহীন পাহাড়ে একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা অন্ধকারের মধ্যে ১টি বস্তা ফেলে গহীন পাহাড়ের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বস্তাটি খুলে তল্লাশি করে ৩টি লম্বা একনলা বন্দুক, ২টি থ্রি কোয়ার্টারগান, ৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ পাওয়া যায়। এসব অস্ত্র নাশকতা সৃষ্টি এবং ডাকাতি সংগঠিত করার জন্য মওজুদ করা হচ্ছিল বলে গ্রেফতার আসামি স্বীকার করে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর