কাঁচা চা পাতার ন্যায্যমূল্যের দাবিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাবববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্ষুদ্র চা চাষিরা এই মানববন্ধন আয়োজন করে। বুধবার বিকেলে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তেঁতুলিয়ার ৫ শতাধিক চা চাষি অংশ নেয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আব্দুল লথিব তারিন, জেলা কৃষক লীগ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক আজিজার রহমান, সদস্য সচিব মাসুদ করিম, উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল হাকিম, সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল বাসেত, চা চাষি সাদ্দাম হোসেন, আবু হানিফ, আব্দুল মতিন প্রমুখ।
বক্তারা এসময় বলেন, তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পঞ্চগড়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চায়ের আবাদ। কিন্তু যে আশা নিয়ে ক্ষুদ্র চাষীরা চা আবাদ করেছেন তাদের সেই আশা ধুলোয় মিশে যাচ্ছে। চা পাতা তুলে বিক্রয় করতে গিয়ে তারা পড়ছেন নানা বিড়ম্বনায়।
পঞ্চগড়ের চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো সিন্ডিকেট করে কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ করছে। সেই সাথে কারখানায় বিক্রয় করতে আনা কাঁচা চা পাতার ওজন থেকে শতকরা ২০-২৫ ভাগ কর্তন করে রাখছে। এতে করে লোকসানের মূখে পড়েছে ক্ষুদ্র চা চাষীরা। চলতি বছরের চা পাতা তোলার মৌসুম শুরুর পর থেকে চা কারখানাগুলো প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ২০-২২ টাকা দরে ক্রয় করলেও এখন তারা ১২-১৩ টাকা দরেও কিনছে না। এতে করে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ক্ষুদ্র চা চাষীরা।
বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, চলতি বছরের জন্য নতুন করে কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। গত বছরের সর্বশেষ সভার সিদ্ধান্তে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার মূল্য ছিল ১৫.৫০ টাকা। নতুন করে মূল্য নির্ধারণ না হওয়ায় আগের মূল্যই বিদ্যমান রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে চা কারখানা মালিকরা প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ২০-২২ টাকা দরে ক্রয় শুরু করে। নতুন করে চা পাতার মূল্য নির্ধারণ করলে চা চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এ কারণে নতুন করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। কারখানায় আনা কাঁচা চা পাতার ওজনের ২০-২৫ ভাগ কর্তন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কেউ আমাদের অভিযোগ করেনি। প্রমান দিয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা বটলিফ কমিটির সাথে আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ