পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূ মিম আক্তারের (১৯) বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারুক মোল্লা (২৭) ছৈলাবুনিয়া গ্রামের রহিম মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত গৃহবধূ মিমকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মিম আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম। ফারুকের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত চার মাস আগে নিহত ফারুকের সাথে বাকেরগঞ্জ উপজেলার নেয়ামতি ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মিম আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ফারুক ঢাকাতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ২০ মে ফারুক তার শ্বশুরবাড়ি মহেশপুর এলাকায় বেড়াতে যান। সেখান থেকে স্ত্রী মিমকে নিয়ে নিজ বাড়ি ছৈলাবুনিয়া গ্রামে আসেন। সোমাবার দুপুরে মিম তার বড় বোন একই গ্রামের রিয়া বেগমকে মোবাইল করে জানান, ফারুক অসুস্থ হয়েছেন। এ খবর পেয়ে বোন রিয়া এসে ফারুকের মরদেহ দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেয়।
পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এসে ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন। এতে মিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং মিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে মিম কখনো বলে ফারুক এক পাতা জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খেয়েছে, আবার কখনো বলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার এমন আচরণ পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে এ ঘটনায় ফারুকের বাবা মো. রহিম মোল্লা বাদী হয়ে নববধূ মিমকে প্রধান আসামি করে মিমের বড় বোন ও ভগ্নিপতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি নববধূ মিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই