বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার পল্লীতে ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ফুফা নাসির হাওলাদারকে (৫২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার মাকোড়ডোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাসিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেতারকৃত নাসিরকে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
নাসির হাওলাদার মোংলা উপজেলার মাকোড়ঢোন পাকখালি আবাসন প্রকল্পের মজিদ হাওলাদারের ছেলে ও পেশায় চা দোকানী। এদিকে, নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা গতকাল বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ জানান, নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা বেশ আগে মারা গেলে অভাবের তাড়নায় তার মা প্রবাসে কাজ করেন। নিরাপত্তার জন্য ফুফা নাসির হাওলাদারের বাড়িতে থাকত ওই কিশোরী ও তার ছোট বোন। দুই মেয়ের খরচ বাবদ প্রতিমাসে নাসির হাওলাদারের কাছে টাকাও পাঠাতো নির্যাতিত কিশোরীর মা। রবিবার রাত আনুমানিক রাত ৮টার দিকে শারীরিকভাবে অসুস্থ্যবোধ করায় ফুফা নাসির হাওলাদারের চায়ের দোকানের পিছনে থাকা তার শয়নকক্ষে কিশোরী ঘুমিয়ে পড়ে। দোকানে কেউ না থাকায় রাত ৯টার দিকে ফুফা নাসির হাওলাদার তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে নির্যাতীত কিশোরী ধর্ষণের বিষয়টি আবাসন প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার খাঁকে জানালে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মল্লিক বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় নাসির হাওলাদার আসামি করে মোংলা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। রাতে উপজেলার মাকোড়ডোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একমাত্র আসামি নাসিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেতারকৃত নাসিরকে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ