পটুয়াখালীর দুমকির ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি কয়েকশ’ খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত এক নার্সের বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার দুপুরে ওই সব স্যালাইন ফেলে দেওয়া হয় বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় লোকজন ফেলে দেওয়া খাবার স্যালাইন কুড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সব স্যালাইনের মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার স্যালাইনের দায়িত্বে থাকা অন্তঃবিভাগের নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাস্টবিনে শত শত স্যালাইন ফেলে দেওয়ার সঙ্গে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন জড়িত রয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা ছাড়া এতোগুলো স্যালাইন বাইরের কেউ নিতে পারে না। হয়তো স্যালাইন কালোবাজারে বিক্রি করতে নেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলায় ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর শহিদুল হাসান শাহীন বলেন, ‘বেশ কিছু স্যালাইন ডাস্টবিনে পাওয়া গেছে। তবে পরিমাণটা সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। কিন্ত কীভাবে ওই স্যালাইন ডাস্টবিনে গেল তা খতিয়ে দেখার জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া অন্তঃবিভাগের নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজানকে শোকজ করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে দেয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল