কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নির্যাতন ও অর্থ লুটসহ হয়রানি বন্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজারহাট উপজেলা সদরের মেকুরটারী দালালী পাড়া গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউর রহমানের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জিয়াউর রহমান এক সময় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। এনিয়ে একাধিক মামলাসহ জেল খেটেছেন তিনি। এখন ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে যাওয়ায় মাদকের পথে তিনি আর নেই। এখন তিনি ধান ও মৎস্যচাষ করে জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কর্মকর্তারা তাকে মাদকের নামে মোবাইলে টাকা দাবি করে আসছেন। তা না হলে মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত সোমবার সকালে ফোন করে ২০ হাজার টাকা দাবি করলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান জিয়াউর রহমান। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ২ জন নারীসহ সাদা পোষাকের ১০ জন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য সবাইকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে বিছানার নীচে মাদক রেখে অপদস্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় বিছানার নীচে রক্ষিত ২০ হাজার টাকা নিয়ে যান বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন জানান, জিয়াউর সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে চেষ্টা করছে। সে খাল-বিল লিজ নিয়ে মৎস্যচাষ করছে। জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছে। তাকে ভালো হওয়ার সুযোগ করে দেয়া উচিৎ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আবু জাফর বলেন, সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল