রাজবাড়ী সদর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে মৃত মানুষকে জীবিত দেখিয়ে দলিল সম্পাদন করার অপরাধে রহিম মিয়া (৪৭) ও দলিল লেখক গনেশ চন্দ্র বৈদ্যকে (৫১) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রহিম মিয়া জেলার সদর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত আজিজ মিয়ার ছেলে। এছাড়া গনেশ বৈদ্য জেলার সদর উপজেলার সজ্জনকান্দা গ্রামের প্রফুল্ল চন্দ্র বৈদ্যের ছেলে।
আজ রবিবার রাজবাড়ীর আমলী আদালত-১ এর বিচারক মো. সুমন হোসেন তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
রাজবাড়ীর আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. হারুন অর রশিদ সোনালী ব্যাংকের মর্টগেজ নিয়ে ২০০৯ সালে একটি জমি ক্রয় করেন। প্রতারকগণ ২০১৮ সালে আজিজ মিয়াকে জীবিত দেখিয়ে রাজবাড়ী সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল সম্পাদন করেন। এরপর মামলার বাদীকে জমি ছেড়ে দিতে বলেন। নিরুপায় হয়ে বাদী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশনা প্রদান করেন।
পুলিশি প্রতিবেদনে আজিজ মিয়া ২০১৭ সালে মারা গিয়েছে বলে প্রমাণ পেয়ে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেন। পুলিশ প্রতিবেদন আমলে নেয় বিজ্ঞ আদালত। রবিবার এই মামলার জামিন শুনানি শেষে দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী বিপ্লব কুমার রায় বলেন, বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এই আইনজীবী।
মামলার বাদী হারুন অর রশিদ বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন, এটা আমার জন্য স্বস্তির খবর। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি আবেদন করেন তিনি। আসামিপক্ষের এক আইনজীবী বলেন, আমি একটি মিটিং করছি। পরবর্তী তারিখে আসামিদের জামিন আবেদন করবো।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর