৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:৫৮

কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় কেন্দ্রসচিবের ৩ দিনের রিমান্ড

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় কেন্দ্রসচিবের ৩ দিনের রিমান্ড

কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় কেন্দ্রসচিবের ৩ দিনের রিমান্ড

কুড়িগ্রামে চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসময় অন্যান্য আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভূরুঙ্গামারীর জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলির আদালতে আসামিদের জামিন ও রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন তিনি।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার ছয় আসামির পক্ষে এই আদালতে জামিন ও রিমান্ডের আবেদন চাইলে আদালত বৃহস্পতিবার উভয় বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন শিক্ষক এবং একজন অফিস সহায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, জোবায়ের হোসেন, হামিদুর রহমান, সোহেল আল মামুন ও অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। তবে অপর এক আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছেন। সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী। এ ঘটনায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কৃষি বিজ্ঞানের পরীক্ষা স্থগিত ও উচ্চতর গণিত এবং জীব বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আজাহার আলী জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমানের তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এসময় আদালত বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে লুৎফর রহমানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ঘটনার সাথে আরও কারা জড়িত রয়েছেন, তাদের তথ্য উদঘাটন মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।

এছাড়াও নতুন করে শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক আগামী ২ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আবু হানিফ পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দিলরুবা আহমেদ শিখা। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এটিএম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদসহ আরও ১০ জন আইনজীবী।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর