সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের কলসিন্দুরের আট ফুটবলকন্যা নিজ জেলা ময়মনসিংহে ফিরেও গত বৃহস্পতিবার জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ফুটবল এসোসিয়েশনের অভ্যর্থনা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। এরপর শুক্রবার জেলা পুলিশের বর্ণিল সংবর্ধনায় উৎসবের রং যেনো হয়েছে আরও গাঢ় হয়। আপ্লুত হন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, দুই শামছুন্নাহার, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, সাজেদা আক্তার ও মার্জিয়া আক্তাররা।
শুক্রবার সকালে নগরীর টাউন হল মোড়ের পুলিশ অফিসার্স মেস থেকে ফুলের মালা পরিয়ে দুটি ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিশেষ নিরাপত্তায় পুলিশ লাইন্সের সংবর্ধনাস্থলে নেয়া হয় ফুটবলার ও তাদের গড়ে তোলার কারিগরদের। মঞ্চে উঠার পর জানানো হয় ফুলেল শুভেচ্ছা। এছাড়াও তাদের দেয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ পুরস্কার।
এমন অভিবাদন পেয়ে ফুটবলার সানজিদা আক্তার বলেন, ‘নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে মানুষের এত ভালোবাসা পাব তা কোনদিন ভাবতে পারেনি। এমন সংবর্ধনা আমাদের ভালো খেলার স্পৃহাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। নতুনরাও উদ্দীপ্ত হচ্ছে।’ কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নারী ফুটবল টিমের ম্যানেজার মালা রানী সরকার বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানে আরও ৫০ জন ফুটবলার আছে। তারাও সানজিদাদের এই জয়জয়কার দেখে উজ্জীবিত হবে। তাদের হাত ধরে একদিন তারা বিশ্ব জয় করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঞা বলেন, ‘হিমালয় জয় করা মেয়েদের সংবর্ধিত করতে পেরে আমরা নিজেরা গর্বিত ও আনন্দিত। ফুটবলের উন্নয়নে মেয়েদের পাশে থেকে জেলা পুলিশ তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। কারণ এটি শুধু ফুটবলের বিজয়ই না এটি নারীদের এগিয়ে যাওয়ার একটি স্বার্থক রূপায়ণ।’
রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদৌলতে আজ মেয়েরা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে হিমালয় জয় করেছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু না হলে মেয়েদের কারণে দেশের এতো সুনাম হতো না। আমি প্রত্যাশা করি, মেয়েরা তাদের এ অর্জন ধরে রাখবে ও এগিয়ে যাবে বীরদর্পে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল