আলোচিত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আগামীকাল মঙ্গলবার। গত ২০ অক্টোবর মামলাটির পুনঃযুক্তিতর্ক শুনানি শেষে এই তারিখ নির্ধারণ করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক বেগম সাদিয়া সুলতানা।
দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতের বিচারক পরিবর্তন হওয়ার কারণে ৪ অক্টোবর রায় ঘোষণা পিছিয়ে যায়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতে বদলি হন। আর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে নতুন বিচারক হিসেবে বেগম সাদিয়া সুলতানা যোগদান করেন। তাই মামলার রায় পেছানো হয়। নতুন বিচারক যোগদান করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির যে যুক্তিতর্ক হয় সেটি ২০ অক্টোবর পুনঃপর্যালোচনার দিন ধার্য করেন। ওইদিন মামলার যুক্তিতর্কের পুনঃপর্যালোচনার পর ৮ নভেম্বর রায়ের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য,২০২০সালের ২ সেপ্টেম্বর রাত ২ টার দিকে সরকারি ডাকবাংলাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টায় তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১ টায় হেলিকপ্টারে ওয়াহিদা খানমকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও র্যাব কয়েকজনকে আটক করেন। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার বিরলের বিজোড়া ইউপির বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনও বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর তাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের এজলাসে উপস্থিত করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি ইমাম জাফর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল