অবশেষে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিক্স-লেন প্রবেশ দ্বারের সেই সড়ক বিভাজকটি (রোড ডিভাইডার) পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এ রোড ডিভাইডারটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু এ ডিভাইডারটি যানবাহন চলাচলে যেন মৃত্যু ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার কবলে পরে ঢাকা-কুয়াকাটাসহ দূরপাল্লার পর্যটক ও যাত্রীবাহী পরিবহন।
তাই সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এ ডিভাইডারটি অপসরন করেছে। তবে এখন গাড়ির গতি কমাতে ও দুর্ঘটনা রোধের জন্য ছয় লেন প্রবেশ দ্বারের মহাসড়কের দুই পাশে স্পিডব্রেকার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরাসরি যাতায়াতের জন্য সম্প্রতি ছয় লেনের নতুন একটি সড়ক নির্মাণ করা হয়। এ সময় এ সড়কে প্রবেশ দ্বারেই প্রায় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ফলে সড়ক কিছুটা সংকুচিত হয়ে যায়। এর পর থেকে প্রায়ই রাতে কিংবা সকালে দূরপাল্লার পরিবহনগুলোর চালকরা এই ডিভাইডারটির আশপাশের এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে থাকে।
তবে কুয়াকাটা পটুয়াখালী রুটের যাত্রী পরিবহনের চালকরা বলেছেন, ডিভাইডারটি একদম নিচু থাকার কারণে ভালভাবে দেখা যায় না। তাই অনেকে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ শরিফ বলেন, ডিভাইডারটি স্থাপনের পর থেকে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দূরপাল্লার যানবাহন এটির উপর উঠিয়ে দিয়েছে চালকরা। অপসারন হয়েছে, খুবই ভাল হয়েছে। তবে এতে সমস্যা সমাধান হয়নি। এখন গাড়ির গতি কমাতে ও দুর্ঘটনা রোধের জন্য সিক্স-লেন প্রবেশ দ্বারের দুই পাশে মহাসড়কে স্পিডব্রেকার দেয়া দরকার। একই কথা বলেছেন, এই রুটে মটরসাইকেল চালক সজিব গাজী, মাসুম, বেল্লাল, সবুজসহ অনেকে।
ডিভাইডার ভাঙা সাব কন্ট্রাকটার মো.জসিম বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে গত দু’দিন ধরে ডিভাইডারটি অপসারণের কাজ করছি। ইতোমধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ ভাঙা হয়েছে। আর একদিনের মধ্যে এটি পুরোপুরি ভাঙা হয়ে যাবে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কুয়াকাটা উপ-বিভাগীয় সুপার ভাইজার তরিকুজ্জামান সৈকত সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে ডিভাইডারটি পুরোপুরি ভাঙা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল