সারা দেশে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। হাওর ও চা বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে ঠাণ্ডার প্রকোপ অন্য জেলার চেয়ে বেশি। শীতের সাথে সাথে বাড়ছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও। ঠাণ্ডাজনিত রোগের কারণে সরকারি হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দিগুণ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। বেড সংকুলানের কারণে হাসপাতালের বেডে রোগীদের জায়গা না থাকায় মেঝেতে হচ্ছে রোগীর ঠাঁই। ঠাণ্ডার মধ্যে রোগীরা মেঝেতে থাকায় অসুস্থতা আরও বাড়ছে। এই দৃশ্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের।
সরেজমিন সোমবার রাতে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে দেখা যায়, সেখানে রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীর জন্য বেড রয়েছে ৫৬ টি। সেখানে সোমবার সকালে ৭৪ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তবে বিকাল পর্যন্ত ১৪ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান। ২২ জানুয়ারি হাসপাতালে রোগী ছিল ৬৯ জন এবং ২১ জানুয়ারি ৬৪ জন রোগী ছিল। প্রতিদিনই ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান সেখানকার কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সিগ্ধা দে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে বয়স্ক রোগীরা শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। জায়গা সংকুলানের কারণে আমরা করোনা ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দিচ্ছি। তবুও সবাইকে বেড দিতে পারছি না।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৪ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত জেলার হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ২০ জন। যা গত সপ্তাহে ১৭৯ জন ছিল। ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জন ছিল। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫৯ জন এবং অন্যান্যা রোগীর সংখ্যা ছিল গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জন। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৪৯ জন।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের সহকারী-পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, সদর হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে বয়স্ক রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। আমাদের স্টাফরা রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য আন্তরিকতার সহিত কাজ করছেন।
সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, ঠাণ্ডায় ডায়রিয়াজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েছে। তবে সেটি খুব একটা নয়। ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে হওয়ায় রোগীর সংখ্যা কম। আর বয়স্ক রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট রোগ রয়েছে। মূলত যারা আগে ধূমপান করেছে, তারাই এই রোগে ভুগছে বেশি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই