২১ জুন বুধবার টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার রাত ১২টার পর থেকেই প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচার—প্রচারণায় শেষ হয়েছে। পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা নির্বাচনী এলাকা। মেয়র ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। তবে প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি শুনে ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। এতে ভোটের হিসেবে মিলাতে কঠিন হবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকেরা।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নির্বাচনে ৩ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রহিম আহমেদ (নৌকা), কৃষক শ্রমিক জনতালীগ প্রার্থী রাহাত হাসান (গামছা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি এনামুল করিম মিঞা (অটল) (নারিকেল গাছ)। এছাড়া নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকায় কিছুটা বেকায়দায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রহিম আহমেদ। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একাট্টা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার ভোটব্যাংক থাকায় গত নির্বাচনেও তিনি সুবিধা পেয়েছেন।
তবে বিএনপির সমর্থন না থাকায় কিছুটা বেকায়দায় রয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী এনামুল করিম অটল। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কোনও নেতা প্রকাশ্যে তার পক্ষে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না। এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় অটলকে বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপুর দলীয় সমর্থন থাকায় বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তাকে জয়ী করতে মাঠে নেমেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি সার্বক্ষণিক নির্বাচনি মাঠের খবর রাখছেন। রাহাত হাসান টিপু এর আগেও দুইটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এবার তার অবস্থান বেশ শক্ত।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৪৩৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৯০৭ জন ও নারী ভোটার ৯ হাজার ৫৩০ জন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০টি এবং ভোটকক্ষ রয়েছে ৫৩টি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনি শংকর রায় বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি বিগত বছরের মতো এবারের নির্বাচনও সুষ্ঠু এবং অবাধ হবে। নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ