ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকায় কেয়া খাতুন (১৫) নামে এক কিশোরীকে হত্যার দায়ে আলী হাসান সরদার (৩৭) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলী হাসান পলাতক ছিলেন। তিনি ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকার সিএন্ডবি কলোনি এলাকার দবিরউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কমলাপুর মহল্লার দবিরউদ্দিনের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো কেয়া খাতুন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দবিরউদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আলী হাসান সরদার গৃহকর্মী কেয়াকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেয়। এতে কেয়া রাজি না হলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয় আলী হাসান। সেই সময়ে কেয়াকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে কেয়ার মরদেহ দবিরউদ্দিনের ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় কেয়ার বাবা বারেক শেখ আলী হাসান সরদারসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুজ্জামান। অভিযোগপত্রে আলী হাসান সরদারকে একমাত্র আসামি করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে ৯ বছর পর মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই