পাবনার সুজানগরের এক সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী অপহরণের স্বীকার হয়েছেন বলে দাবি করেছে পরিবার। তিনি ৭ লাখ টাকাসহ অপহরণ হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলছে পরিবার। নিখোঁজ ব্যবসায়ী সুজানগর উপজেলার বনকোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ দারোগার ছেলে রবিউল আলম (৬৫)। দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে তিনি বনকোলার মধ্যপাড়া নতুন বাজারে সার-কীটনাশক ব্যবসা করে আসছিলেন ও সিনজেনটা কোম্পানির কীটনাশক রিটেইলার ডিলারও। গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে তিনি নিখোঁজ বলে দাবি পরিবারের। এ ঘটনায় সুজানগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তার স্ত্রী মোছা রাশিদা খাতুন রিতা।
স্ত্রী রাশিদা খাতুন রিতা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে গোসল খাওয়াদাওয়া সেরে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হন তিনি। আমার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়ে গেলেন। দোকান হয়ে পাবনার গাছপাড়াস্থ কোম্পানির আঞ্চলিক অফিসে পাওনা টাকা দিতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। সেখানে পৌঁছে ফোন করে জানানোর কথা ছিল ব্যবসায়ী রবিউলের। এরপর বিকেল ৩টা ২৯ মিনিটে ফোনে তার সাথে সর্বশেষ কথা হয়। তখন তিনি গাড়িতে ছিলেন। খুব জোরে গাড়িটি যাচ্ছিলো বলে মনে হচ্ছিলো। কোথায় আছেন, জিজ্ঞেস করলে জানান, রাস্তায়, কাছাকাছি আছেন। সঠিক জায়গার নাম বলেননি। এরপর ৫টা ১৬ মিনিটে তাকে আবার কল করলে ফোন বন্ধ দেখায়। এরপর সময় নিয়ে কয়েক দফায় চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।
তিনি আরো জানান, কোনোভাবেই তাকে যখন তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, তখন গাছপাড়ার ওই অফিসে আমাদের যোগাযোগ হয়। উনারা জানান বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে তাদের সাথে কথা হয়েছিলো বলেও জানান। তারা আরো জানান, রবিউল বলেছিলেন চলে এসেছি প্রায়। তারপর থেকে তারাও তাকে ফোনে পায়নি তারাও।
পাবনা গাছপাড়াস্থ সিনজেনটা কোম্পানির আঞ্চলিক অফিসের মার্কেট ডেভেলপার (সুজানগর এরিয়া) তৌফিক হোসেন জানান, উনি আমাদের রিটেইলার। উনার কাছে ১৬ লাখ টাকা পাবে কোম্পানি। ওইদিন আমাদের হালখাতা ছিলো। রবিউল সেখানেই আসছিলেন। যখন উনার সাথে কথা হয় তখন উনি সিএনজিতে ছিলেন। প্রচুর বাতাসের শব্দে সব বোঝা না গেলেও উনি জানান, অল্পকিছু সময় লাগবে পৌঁছাতে। এরপর উনার আসতে বেশি দেরি দেখে ৪টা ৪৫ মিনিটে কল দেই। একবার কল ঢোকার পর ফোন বন্ধ পাই। এরপরে থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তারা।
এ বিষয়ে সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় বুধবার সকালে নিখোঁজের স্ত্রী রাশিদা খাতুন রিতা বাদী হয়ে একটি নিখোঁজ জিডি (ডায়েরি) করেছেন। এখনো পর্যন্ত কোনো উৎস না পেলেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সুজানগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল আলম জানান, আমরা ফোন ট্রাক করে জেনেছি সর্বশেষ উনার অবস্থান ছিল পাবনার আতাইকুলাতে। আমরা চেষ্টা করছি ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের জন্য।
বিডি প্রতিদিন/এএ