মাগুরা শহরের ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে রাবেয়া খাতুন নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত চিকিৎসক ভুক্তভোগী পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাগুরা শহরের সদর হাসপাতাল পাড়ায় আল আহাদ ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ করে নিহতের স্বজনরা। এসময় পুলিশ এসে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে।
নিহতের স্বামী তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী রাবেয়াকে ডা. অমরেন্দ্র নাথ দেউড়ি আল আহাদ অ্যান্ড নার্সিং হোম অ্যান্ড ক্লিনিকে মঙ্গলবার দুপুরে সিজার করেন। এতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিকালে প্রসূতি মায়ের অবস্থা খারাপ হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বজনদের চাপ দেয়।
স্বজনরা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রোগীকে উঠানোর সময় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লাশ ময়নাদতন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ক্লিনিকটি এখন তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ডাক্তারের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঘটনার পরপরই চিকিৎসক অমরেন্দ্র নাথ দেউড়ি দ্রুত ক্লিনিক ত্যাগ করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। অন্যদিকে সংবাদ পেয়ে মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার শহিদুল্লাহ দেওয়ান স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্লিনিকের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ করে দেন।
এ ব্যাপারে মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ক্লিনিক তালাবদ্ধ করার পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ওই চিকিৎসক কোনো চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না, এ মর্মে তাকে চিঠি দিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই