ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর মাদক মামলায় পুলিশের এসআই হেলাল ও সুইপার মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে যাবজ্জীবনসহ প্রত্যেককে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করে এ রায় ঘোষণা করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ।
হেলাল ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়। মামলার সাথে জড়িত সুইপার মানিক ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার মন্ডলাদাম গ্রামের বাদল দাসের ছেলে।
রায়ের মাধ্যমে জানা যায়, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এসআই হেলাল উদ্দিন প্রামানিক ও তার সহযোগী সুইপার মানিক দাসকে দুটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ১২ লক্ষ টাকাসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরো একটি ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
মানিক দাস বর্তমানে পলাতক রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এ মামলার আরো ১ আসামি মাসুদ রানাকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাস প্রদান করা হয়েছে এবং মামলার জব্দকৃত সকল আলামতকে ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৯ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পীরডাঙ্গী কবরস্থান থেকে মাদকবিক্রেতা আকিমুল ও তার স্ত্রীকে আটক করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সদস্যরা।
পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা জানান, পীরগঞ্জ থানার এসআই হেলাল তাদের ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা সাপ্লাই করে থাকেন। সেদিন থেকেই হেলালের উপর নজরদারি শুরু করে ডিবির সদস্যরা। পরে সেখানে ঠাকুরগাঁও ডিবির একটি দল অভিযান চালিয়ে আট হাজার পিস ইয়াবা, ফেনসিডিল ও দুই কেজি গাঁজাসহ হেলাল ও তার সহযোগী সুইপার মানিককে আটক করে। আটক হেলালের বাড়ি নওগাঁ জেলায় ও সুইপার মানিকের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার মন্ডলাদাম গ্রামে। তার বাবার নাম বাদল দাস।
এ ঘটনায় ডিবির পরিদর্শক রূপ কুমার সরকার বাদী হয়ে আটক হেলাল ও মানিকের নামে পীরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ